Krishak Bandhu Scheme: আপনি কি একজন কৃষক? কৃষক বন্ধু প্রকল্পে (Krishak Bandhu Scheme) আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকা পাননি! কবে পাবেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এই প্রতিবেদনে আমরা আজকে যারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন।
বাংলার কৃষকদের একাউন্টে কবে নাগাদ কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) টাকা ট্রান্সফার করা হবে এই নিয়ে বড় ঘোষণা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত বৃহস্পতিবার নবান্ন একটি সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠকে তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন।
গত বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে তিনি জানান যে, “২৪-২৫ রবি মরশুমের জন্য কৃষকবন্ধু নতুন প্রকল্পে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষককে মোট ২ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা সহায়তা প্রদানের সূচনা করা হল।”
আজ থেকে অর্থাৎ ২২ নভেম্বর তারিখ থেকে কৃষকদের একাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা ঢুকতে শুরু করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, “চলতি বছরেই শুধুমাত্র কৃষকবন্ধু নতুন প্রকল্পে বাংলার কৃষকদের মোট ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা সহয়তা দেওয়া হল।”
তিনি আরও বলেন, “২০১৯ সাল থেকে বাংলার কৃষক, বর্গাদার, ভাগচাষীদের ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হল। রাজ্যের টাকা, কেন্দ্রের ১ পয়সা নেই।” কৃষক বন্ধু প্রকল্পের পাশাপাশি ওই দিনের বৈঠকে বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Awas Yojna: আরও ১ লক্ষ নতুন বাড়ি আবাস যোজনায়, কবে থেকে টাকা পাবেন? তারিখ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “শস্য বীমা প্রকল্পে ১ কোটি ২ লক্ষ কৃষককে আরও ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। বন্যা, দানার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাংলার শস্য বীমা করার সময় নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে। রাজ্যে ক্যাম্পও করা হয়েছে। প্রায় ৬৫ লক্ষ কৃষক নাম লিখিয়েছেন।”
বর্তমানে বাজারে অন্যান্য সবজির দাম তো বেশি রয়েছেই তার পাশাপাশি প্রধান সবজি তরকারি আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর এই আলুর দামের বৃদ্ধি নিয়ে ঐদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান যে বাংলার আলো ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়ার ফলে বাজারে ক্রমাগত আলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তার কথায়, “আমার নিজের রাজ্যের মানুষ খেয়ে যদি তারপর থাকে তাহলে বিক্রি করো।” আবার তিনি বলেন, “বাংলার আলু বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার আলুর দাম বাড়িয়ে মুনাফা বৃদ্ধি চলবে না।”
বাংলার চাষি যারা রয়েছে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে শস্য বিমা দেওয়া হয়। এই বিষয়টি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “আমরা, সরকার বিমা দেব, কিন্তু তারপর আলু ভিন রাজ্যে বিক্রি হয়ে যাবে… এটা হতে দেওয়া যাবে না।”
আরও পড়ুন: Holiday List: পূজোপার্বণ মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ৪৬ দিন ছুটি দিল নবান্ন, দেখে নিন ছুটির তালিকা