এবার নতুন নিয়ম চালু করা হল রাজ্যের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য। অর্থ দফতর এবার জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (General Provident Fund) বছরে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিল। রাজ্য সরকার সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকাতে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (GPF) নিয়েই বলা হয়েছে।
অর্থ দফতরের নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে?
অর্থ দফতরের তরফ থেকে নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা বছরে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এতদিন পর্যন্ত জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে নিজের মূল বেতনের (বেসিক) সমপরিমাণ অর্থ জমা করা যেত।
কিন্তু এবার থেকে অর্থ দফতর শিক্ষকদের জন্য বার্ষিক সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেছে। এই নিয়ম কার্যকর চলতি বছর থেকেই হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক CBI-এর জালে! গ্রেফতার পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’
রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই নির্দেশিকা কেন্দ্রের নিয়মকে মান্যতা দিয়েই জারি করা হয়েছে।
অর্থ দফতরের তরফ থেকে প্রকাশ করা এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে যাদের ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ জমা পড়েছে, মাসিক যে অর্থ তাদের সঞ্চয়ের জন্য কাটা হয়, এবার থেকে তা যাতে না নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সকলের ব্যাঙ্কে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা পাঠাবে নবান্ন, ডিসেম্বরে বিরাট প্ল্যান রাজ্য সরকারের
রাজ্যের এই নতুন নিয়ম নিয়ে শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল এই নিয়ে জানিয়েছেন, জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্টে শিক্ষকদের টাকা জমা করার একটা উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার, কিন্তু একটি বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পরেই সেই নির্দেশ দিতে হয়।
আরও পড়ুন: PAN Card: এ বার বদলে যাবে সকলের প্যান কার্ড! কী সিদ্ধান্ত হল মোদীর মন্ত্রিসভার বৈঠকে
তিনি আরও বলেন, বাংলায় বেতন কমিশন ২০২০ সালে চালু হয়েছিল। বেতন কমিশন চালু হওয়ার চার বছর পর এসে সেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে কেন?
এছাড়াও শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন যে, সরকারি খাতে সঞ্চয় করা হয়ে থাকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য। এবার সেই ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিলে বেসরকারি সংস্থাগুলির প্রভাব বৃদ্ধি পাবে।