সম্প্রতি আরজি কর কান্ড (RG Kar incident) রাজ্য জু্ড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। সরকার তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। এই আবহে এরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) কি বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
আরজি কর কান্ডে (RG Kar incident) মহিলা নিরাপত্তায় গাফিলতি সামনে আসায় সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক মহিলাই রাজ্য সরকারের থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা নেবেন না বলে জানিয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কিংবা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এগুলো এখন পাওয়া যাবে কিনা? সেই সম্পর্কে বড় আপডেট জানা গিয়েছে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সমাজের সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচীর পাশাপাশি কলকাতা সহ সারা রাজ্যেই প্রতিবাদ মিছিল করছে শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ। আরজিকর কান্ডে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে যথেষ্ঠ। নানা মহল থেকে চাপও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরির সুযোগ! রইলো আবেদন প্রক্রিয়া সহ বিস্তারিত
আরজিকর কান্ডে রাজ্যে সরকারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে শাসকদলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার তার সাংসদ পদ ছেড়েছেন। এরাজ্যের অনেক শিল্পী রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরাজ্যের অনেক পুজো কমিটি সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে নবান্নের সভাঘর থেকে এক প্রশাসনিক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন যেসব পুজো কমিটি দুর্গাপুজোর অনুদান নিতে চান না, তাদের সেই অনুদানের টাকা অন্য পুজো কমিটিকে দিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: DA News: সরকারি কর্মীরা ১৪ হাজার ৪০০ টাকা বেশি পাবেন পুজোর আগেই, বিরাট আপডেট সামনে এলো
রাজ্য সরকার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে (Taruner Swapna Scheme) দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কিনতে টাকা দিত। সেই টাকা এবছর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। তারপর থেকেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয় যে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে পড়ুয়াদের ভিড় দেখে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করল কিনা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সংক্রান্ত যে আপডেট সামনে এসেছে তা হল প্রকল্পটি যেমন চলছিল তেমনি চলবে। অর্থাৎ এরাজ্যের মহিলারা যেমন এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছিলেন তেমনি পেতে থাকবেন। এই প্রকল্পে জেনারেল শ্রেণিভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ও তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।
এরাজ্যের অন্যতম সফল একটি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme)। এই প্রকল্পের সুবিধা এরাজ্যের প্রায় এক কোটির বেশি মহিলা পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্প রাজনৈতিক ভাবে অনেকটাই মাইলেজ দিয়ে থাকে শাসকদলকে। অপরদিকে ট্যাবের টাকা নিয়েও আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: October Holiday List 2024: ৫-৬ দিন স্কুল-কলেজ-অফিস ছুটি থাকবে অক্টোবর মাসে! ছুটির তালিকা দেখে নিন
এই প্রসঙ্গে শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কুণাল ঘোষের একটি ট্যুইট বির্তকের সৃষ্টি করেছে। তিনি তার ট্যুইটে লিখেছেন যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাননা তাদের জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আলাদা একটি কাউন্টার খোলা হোক বলে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে ফর্ম ফিল আপের মাধ্যমে প্রকল্পের সুবিধা ত্যাগ করুক যারা সেটা করতে চায়।
আরও পড়ুন: দার্জিলিং জেলার প্রশাসনিক বিভাগে চাকরির সুযোগ, ৩০ সেপ্টেম্বর আবেদনের শেষ তারিখ