পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক জনদরদী প্রকল্পের সূচনা করেছেন। তবে এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পটি।
এই লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, রাজ্য সরকারের চালু করা অন্য একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হল।
আমাদের দেশ ভারত মূলত কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিকাজই ভারতের অধিকাংশ মানুষের পেশা। তবে সারা বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলেও অনেক কৃষকই সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খান।
আরও পড়ুন: ৪টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্ড ভারতীয়দের রাখতেই হবে, না থাকলেই বিপদ!
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই সমস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে। উপভোক্তাদের এই কৃষক ভাতা স্কিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা এই কৃষক ভাতা স্কিমটিতে আবেদন করতে গেলে কৃষকদের বেশ কয়েকটি মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। তবেই প্রতিমাসে ভাতা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: আর করতে হবে না Jio-Airtel এর দামি রিচার্জ! BSNL এর এই সস্তা প্ল্যানে ৩৬৫ দিন রিচার্জ থেকে মুক্তি
এই স্কিমে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা অন্তত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে থাকতে হবে। এই স্কিমে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে হবে। তবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির আবেদনকারীদের বয়স ৫৫ বছর হলেই আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Holiday List: প্রচুর ছুটি অক্টোবর মাসে! কবে কবে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ? রইলো তালিকা
আবেদনকারী কৃষকের নামে ১ একরের বেশি জমি থাকা যাবে না। এছাড়াও আবেদনকারী যদি কেন্দ্রীয় সরকার (Government of India) অথবা রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) অন্য কোনো ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা এই স্কিমে মূলত অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। তবে অনলাইন থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সেই আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করে স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস বা মহকুমা অফিসে গিয়ে আবেদনপত্রটি জমা করতে হবে।
কৃষক ভাতা প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে কিছু নথি জমা করতে হবে। কৃষক ভাতা প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর রেশন কার্ড, আধার কার্ড, শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তার শংসাপত্র, জমির মালিকানার প্রমাণপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবই, স্থানীয় অঞ্চল প্রধানের শংসাপত্র, অ্যাক্টিভ মোবাইল নম্বর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ৫৮,৫০০ টাকা বেতনে রাজ্যের সরকাররি স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ চলছে, রইলো বিস্তারিত