ভারতের প্রথম 5G সার্ভিস লঞ্চ করা হয়েছিল জিও (Jio) ও এয়ারটেল (Airtel)-এর পক্ষ থেকে। দুই বছর আগে দ্রুত নেটওয়ার্ক পরিষেবার জন্যই এই সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। আর দ্রুত এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা পাওয়ার জন্যই অনেক গ্রাহক জিও (Jio) ও এয়ারটেল (Airtel)-এর 5G নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করতে শুরু করে।
কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে, 5G ফিচার দ্রুত গ্রহণ এবং ডেটা ব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। আর এই চাপের কারণেই 5G নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার দুই বছর পর দেশের গড় 5G ডাউনলোড স্পীড কমে গেছে।
পাশাপাশি এই রিপোর্টে আরো একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই জানব। চলুন এই রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: একাধিক পদে চাকরির সুযোগ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩০ অক্টোবর আবেদনের শেষ তারিখ
এনালিটিক্স কোম্পানি ওপেনসিগনাল প্রদত্ত একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে উন্নত 5G পরিষেবা উপভোগ করার জন্য যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল স্পেকট্রাম ব্যাবস্থা এবং ব্যবহার।
ওই রিপোর্ট মারফত আরো একটি বিষয় জানা গেছে যেটি হল ৭০০ মেগাহার্টস ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করে মাত্র ১৬ শতাংশ 5G ব্যবহারকারী। বড়সড় অঞ্চলগুলিতে এই পরিষেবা দিতে পারা যাবে তবে এর ইন্টারনেট স্পিড কম হবে।
১৬ শতাংশ গ্রাহকের বিপরীতে বাকি ৮৫% গ্রাহকই 3.5 GHz ব্যান্ড ব্যাবহার করে থাকেন। এর মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় কিন্তু এটিও সব অঞ্চলে কভারেজ দিতে সক্ষম নয়। সীমিত অঞ্চলে এর পরিষেবা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, ৮০০ টাকাও পাবেন রাজ্যের এই প্রকল্পে, কারা কারা পাবেন?
এখন যত দিন যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে ডেটা ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে। আর এই বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটানোর জন্য সার্ভিস প্রোভাইডারকে তাদের স্পেকট্রাম সংশোধনের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে যা যথেষ্ট সমস্যার একটি কাজ। রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)-এর তুলনায় এয়ারটেল (Airtel) 5G ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ৬.৬ শতাংশ বেশি স্পীড পাওয়া যায়।
এতে এমবিপিএস থাকে প্রায় ২৪০। ভারতে এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক পরিষেবা জিওর তুলনায় দ্রুত। তোমার রিচার্জ এর তুলনায় এয়ারটেল (Airtel)-এর রিচার্জ এর মূল্য বেশি হলেও অনেক গ্রাহক এই নেটওয়ার্ক পরিষেবার কারণে এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত হয়।
২৩ এমবিপিএসে একটি ভালো 5G আপলোড স্পীডের জন্য ভারতে এয়ারটেল সংস্থা একটি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে। চলতি বছর ৯০ দিনের একটি সময়ে (১ জুন তারিখ থেকে ২৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত) রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও বিএসএনএল সংস্থার ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ২৪ বছর পর বদলে গেল BSNL LOGO! সাথে লঞ্চ হল এই ৭টি নতুন সার্ভিস
আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা লঞ্চ করেছে এয়ারটেল (Airtel) ও জিও (Jio) টেলিকম সংস্থা। কিন্তু ভোডাফোন আইডিয়া (VI) ও সরকারি কোম্পানি বিএসএনএল (BSNL) এখনও পর্যন্ত তাদের ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করেনি। আর সেই কারণেই 5G পরিষেবা প্রদান এখনো পর্যন্ত জিও (Jio) ও এয়ারটেল (Airtel) টেলিকম সংস্থা নিজেদের নাম সমুজ্জ্বল করেছে।
সম্প্রতি এয়ারটেল (Airtel) সংস্থা মিড-ব্যান্ড স্পেকট্রাম পুনরায় চালু করেছে। বেড়ে যাওয়া ট্রাফিক ম্যানেজ করার জন্যই নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রাহকরা যাতে শুধুমাত্র 4G এর উপর নির্ভর না হয়ে থাকে তার জন্য 5G স্ট্যান্ডঅ্যালোন (SA) সার্ভিসের চালু করার পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা।
আবার জিও (Jio) সংস্থা স্পেকট্রাম ব্যাবহারের যাতে উন্নতি করা যায় তার জন্য তারা তাদের SA 5G নেটওয়ার্কের বিস্তার বৃদ্ধি করছে। জিও (Jio) টেলিকমের সংস্থার অধীনে বর্তমানে ভারতের সবথেকে বেশি গ্রাহক সংখ্যা থাকলেও সম্প্রতি 5G সার্ভিসের লিডিং প্রোভাইডার হিসেবে আমাদের দেশে এয়ারটেল (Airtel) সংস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিচার্জ করলে পাবেন ৩,৩৫০ টাকার ভাউচার! দীপাবলিতে Jio আনল ধামাকা অফার!
এই টেলিকম সংস্থা 5G সার্ভিসের পাশাপাশি ভিডিও এবং গেমিং ক্যাটেগরির জন্য মোট পাঁচটি পুরস্কার অর্জন করেছে। পাশাপাশি জিও (Jio) সংস্থার কাছেও রয়েছে একাধিক কোয়ালিটি সার্টিফিকেট।
পাশাপাশি জিও (Jio) সংস্থা বিশেষভাবে লিডিং প্রোভাইডার হিসেবে 5G কভারেজ ক্যাটাগরিতে তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছে। তবে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দ্রুত 5G ডাউনলোড এবং আপলোড স্পীড পরিষেবা দিয়েছে ভারতী এয়ারটেল (Airtel) সংস্থা।
আরও পড়ুন: Big News: ১ লাখ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করবে RRB! মাধ্যমিক পাশেই চাকরির সুযোগ