হবু শিক্ষকদের জন্য পুজোর আগেই সুখবর এল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকেই ১৪ হাজার হবু শিক্ষকদের জন্য এক বিশাল সুখবর এল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়োগ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না।
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সেই ২০১৫ সাল থেকেই জটিলতা চলছে। উচ্চ আদালত পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ২০২০ সালে বাতিল করে দিয়েছিল। পুনরায় ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ চলতি বছরের আগস্ট মাসে রায় দেয়, স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)-কে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এবং সেই মেধা তালিকার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে চাকরিপ্রার্থীদেরকে নিয়োগ করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, কয়েকজন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী এই দাবি করে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর ফলে আবার ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে জট তৈরি হয়।
যদিও এই মামলায় হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। এর ফলে প্যানেল প্রকাশে আর বাধা থাকল না।
সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (Upper Primary Teacher Recruitment) নিয়ে করা SLP। সুপ্রিম কোর্টে আপার প্রাইমারি নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিন আপার প্রাইমারির একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। তবে খারিজ হয়ে গেল সেই মামলাটি।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ (Upper Primary Teacher Recruitment) নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে SLP করেন। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত এবং আইনজীবী রাহুল কুমার সিংহ আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে জোরালো ভাবে তথ্য তুলে ধরেন। এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট SLP খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, প্রয়োজনে এই নিয়ে শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে।