Awas Yojna: আরও ১ লক্ষ নতুন বাড়ি আবাস যোজনায়, কবে থেকে টাকা পাবেন? তারিখ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Awas Yojna: পূর্ব ঘোষণা মতোই আগামী মাসেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) বরাদ্দকৃত টাকা উপভোক্তাদের দেওয়া চালু করবে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নবান্নের  বৈঠক থেকে একটা ঘোষণা করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আবাস যোজনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে।

(১) মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘অর্ধেক টাকা দেব আমরা, কিন্তু নাম হবে কেন্দ্র সরকারের’। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর্যাপ্ত টাকা আছে কিনা একবারও জানার প্রয়োজন মনে করেনা কেন্দ্র।

(২) অনেকরকমের স্কিম চালু করা হয় ২ বছরের জন্য। কিন্তু সেই প্রকল্প দেখভালের জন্য রাজ্যকে কমবেশি লোক নিয়োগ করতে হয়। ২ বছর পর যখন এটি বন্ধ হয়ে যায় কর্মহীন হয়ে পড়ে সেই লোকগুলি। এদের কথা কেউ ভাবেনা। এরকম অনেক ঘটনা অতীতে ঘটেছে।

আরও পড়ুন: LIC New Jeevan Anand: ২৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন মাত্র ৪৫ টাকা করে জমিয়ে, LIC-র এই ফাটাফাটি স্কিম সম্পর্কে জেনে নিন

(৩) আবাস যোজনার টাকা নিয়ে বিভ্রান্তি করা হচ্ছে। কেন্দ্র জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে। আগে রাজ্যই ভ্যাট কালেকশান করতো। এখন কেন্দ্র তো সব নিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে কিছু অংশ পাচ্ছে রাজ্য। ফলে এমনটা নয় যে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে মানেই সেটা কেন্দ্রের টাকা।

(৪) এই টাকা থেকেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে আবাস যোজনা করেছেন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ ৬০ শতাংশ, আর বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তবুও নামটা হবে প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নামে কোনো প্রকল্প শুরু করিনি। কারণ আমরা মনে করি, কাজই হবে একমাত্র উন্নয়নের পরিচয়। তবে প্রকল্পের নামকরণ যদি করতেই হবে তবে মহান মানুষদের নামেই করা উচিত। কিন্তু নিজের নামে উন্নয়ন প্রকল্প আমি কখনই সমর্থন করিনা।

আরও পড়ুন: Holiday List: পূজোপার্বণ মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ৪৬ দিন ছুটি দিল নবান্ন, দেখে নিন ছুটির তালিকা

(৫) আমি এটাও চাই না যে আমার মৃত্যুর পর আমার নামে স্ট্যাচু তৈরি হোক। আমার পরিচয় হবে আমার কাজের মাধ্যমে। আমি এটাই বিশ্বাস করি। অনেকেই আমার মা-বাবার মৃত্যুর পরে বলেছিল তাদের নামে কিছু চালু করুন আমি সেটাও করিনি।

(৬) আমাদের অনেক টাকা বকেয়া। অনেক টাকা আমরা এখনও পাইনি। বর্ষা হলে, বন্যা হলে মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে। বেচারা গরীব মানুষগুলো কোথায় যাবে। নতুন আবার নিয়ম করেছে স্মার্টফোন থাকলে কিংবা আরও কিসব লিস্ট আছে সেগুলো থাকলে তুমি এর সুবিধা পাবেনা। এগুলো ঠিক নয়।

(৭) আমরা জানি বাংলায় এখনও মাটির বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ। অনেকে একটা বাড়ির একপাশে ইঁটের দেওয়াল দেখলে সেটা বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু একটা বাড়ি অর্ধেক ভাঙা, তাহলে অর্ধেক অংশের জন্য টাকাটা দেওয়া উচিত। আমি গ্রামে অনেকবার গিয়েছি, থেকেছি সেখানে। গ্রামে খেলেছি, সাঁতার কেটেছি, গ্রামের আলপথ হেঁটেছি। গ্রামের সাথে একটা আত্মিক যোগ আছে আমার। এসব দুঃখ কস্ট আমি অনেক বুঝি।

আরও পড়ুন: SBI Recruitment 2024: ১৬৯টি শূন্যপদে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় কর্মী নিয়োগ চলছে, কারা কীভাবে আবেদন করবেন?

(৮) প্রথম যে কিস্তির টাকাটা দেওয়া হবে সেটি ১১ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ১২ লক্ষ করে দিয়েছি। কারণ এই সময়ের মধ্যে নানা রকম দূর্যোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বাংলা। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই টাকা দেওয়া শুরু করবো। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত গ্রাহকই সেই টাকাটা পেয়ে যাবেন। ইলেকশানের জন্য ৫ জেলায় সার্ভের কাজ বন্ধ ছিল আমরা খুব তাড়াতাড়ি সেগুলোও দিয়ে দেবো।

(৯) এই প্রকল্পের নাম আবাস যোজনার বদলে ‘বাংলার বাড়ি’ (Banglar Bari) দেওয়া হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই বাংলার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু কাজ করি।

আরও পড়ুন: UGC Rule: এবার কম সময়েই মিলবে স্নাতক ডিগ্রি! দ্রুত কোর্স শেষের জন্য কী নিয়ম আনছে ইউজিসি?

Leave a Comment